ভোলার চরফ্যাশনের আছলামপুরে জায়গা নিয়ে বিরোধ হওয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে বাইরে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ ঘটনায় ইমামকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৭ জুন) আছলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে একসঙ্গে ২ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ান স্কুলের দপ্তরিমুসল্লি ও স্থানীয়রা জানান, জমির মালিক জিয়া উদ্দিন সোহাগের কাছ থেকে তিন বছর আগে ৩২ শতাংশ জমির দাম ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়। বায়না চুক্তির পর সেখানে মসজিদ নির্মাণ করে দুই বছর ধরে জুমাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এদিকে চুক্তির চেয়ে ১১ হাজার টাকা বেশি পরিশোধ করার পরও সোহাগ ওই জমির দলিল না দিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ হলে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এ সম্পর্কে জানেন।
সবশেষ গত ৩১ মে শুক্রবার সোহাগ মসজিদে উপস্থিত হয়ে তার পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত নামাজ আদায়ে বিরত থাকতে ইমামকে চাপ দেন। এ সময় ইমামকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় বলে মসজিদের সভাপতি কফিল উদ্দিন ও স্থানীয় মেম্বার ইয়াছিন সেলিম অভিযোগ করেন।
এদিকে শুক্রবার (৭ জুন) বিরোধ এড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে মসজিদের বাইরে খোলা আকাশের নিচে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
জমির মালিক জিয়া উদ্দিন সোহাগ হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় জমি বিক্রির কথা চূড়ান্ত হয়। তবে বায়না চুক্তির কিছু টাকা দিলেও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এখনও পাওনা আছে। ওই টাকা দিচ্ছে না। আর টাকা না পাওয়ায় তিনি মুসল্লিদের ৫ শতাংশ জমি মসজিদের নামে দেবেন বলেছেন। যাতে দাদার নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে আছলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।