public/icons8-arrow-back-96.pngসকল

পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ডাক বুটেক্স শিক্ষক সমিতির

বুটেক্স প্রতিনিধি

বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ এ ১১:২৮ PM
https://i.ibb.co/fr3v1ZQ/received-1189237922263909.jpg
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতা রেখে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) শিক্ষক সমিতি আগামী ২৫-২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম প্রত্যাহার সংক্রান্ত বুটেক্স শিক্ষক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এর আগেও বুটেক্স শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন এবং অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এখনও প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে একাত্ম প্রকাশ করে এবার সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বুটেক্স শিক্ষক সমিতির ঘোষিত বিজ্ঞপ্তিতে সর্বাত্মক কর্মসূচি নিয়ে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার কার্যক্রম তথা ক্লাস, পরীক্ষা, সভা, সেমিনার ইত্যাদিতে কর্মবিরতির আওতায় থাকবে। বিভাগীয় প্রধান, ফ্যাকাল্টি ডিন, বিভিন্ন ইউনিটের পরিচালকগণ, প্রক্টর ও প্রভোস্ট কোনো প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না বুটেক্স শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে এবং তাদের মধ্যে প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতায় আসে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধ্যাপনায় আকৃষ্ট করার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেরও উচিত বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। তাহলে তারা শিক্ষকতায় আসবে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া কখনই সম্ভব হবে না। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়েছেন, তা কখনই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের উচ্চতর শিক্ষাকে অবহেলা করে সম্ভব না।

ড. সাইদুজ্জামান বলেন, যে দেশ যত বেশি উন্নত, সে দেশে শিক্ষা ও শিক্ষকতাকে তত বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়ে থাকে। শিক্ষা ও শিক্ষকতার যথার্থ মূল্যায়ন আছে বলেই শিক্ষকরা স্বতঃফুর্তভাবে কাজ করতে পারছেন। নিরলস গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করছেন নতুন নতুন পণ্য, সেবা ও প্রযুক্তি। আমাদের দেশও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। অনুন্নত/স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে ও ত্বরান্বিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

Copyright © 2024

Daily Metro All rights reserved

Privacy Policy
fb.pngX.pnggmail.pngig.pngwhatsApp.png