গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রকােশ্য কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা,রংপুরের পীরগঞ্জে শিশু ফারজানা ও আদম হত্যা,চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে নেশার টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে,ময়মনসিংহে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে হত্যাকারীর উল্লাস, ময়মনসিংহে চাচাতো বোনকে বিয়ে করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুককে(সৌরভ) হত্যার পর টুকরো করা হয়...।
এরকম হাজারো খবর পত্রিকায় প্রতিনিয়ত ছাপা হয়।২০২৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া মামলার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের বেশি।অপরাধীদের কাছে অপরাধ যেনো একটা ছেলেখেলা। আইন না মেনে চলাই যেনো তাদের কাছে যুক্তিযুক্ত। হস, বেন্থাম, অস্টিন প্রমুখ লেখক মনে করেন যে, “মানুষ আইন মেনে চলে শাস্তির ভয়ে।”কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে আইন না মেনে চলা মানুষিকতার লোকজন দেখতে পায়।প্রতিনিয়ত তারা আইনের বিধান লঙ্ঘন করছে।আইন অবমাননার পিছনে আসলে দায়ী কী?
আমাদের চারপাশে অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে।অপরাধীরা খোলাখুলি অপরাধ করছে।তাদের মাঝে সামান্য অনুশোচনা নেই। পত্রিকা খুললেই চুরি,ছিনতাই,মারামারির খবর। প্রতিনিয়ত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।একজন থেকে আরেকজন কীভাবে জঘন্য ভাবে হত্যা করতে পারে তার যেন প্রতিযোগিতা। মানুষকে শুধু হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত নেই অপরাধীরা।তাদের কত নৃশংস ভাবে হত্যা করা যায় সেটাই এখন তাদের মূল পরিকল্পনা। কিছুদিন আগে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।ফেনীতে টিকটকার স্রীকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমার্পণ করে স্বামী,নরসিংদীতে গত ২বছরে ১৩০ এর বেশি হত্যা,প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে নারীদের।এমনকি ছোটশিশুটি ও রক্ষা পাচ্ছে না এই জঘন্য কাজ থেকে।
এছাড়া বিভিন্ন অপরাধ ঘটছে চারপাশে। অপরাধ গুলো খবরের কাগজে প্রতিনিয়ত ছাপা হলেও অপরাধের শাস্তির খবর খুব কমই দেখা যায়।যার কারণে অপরাধীরা অপরাধের বিভিন্ন কৌশল খুজেঁ পায় ঠিকই কিন্তু শাস্তির ভয়টা তাদের মাঝে আর নেই। যার করণে তারা আইন মেনে চলার প্রয়োজন মনে করে নাহ।অপরাধের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে।শাস্তির ভয়টা এখন খুবই দরকার। পত্রিকা গুলোতে যদি অপরাধের শাস্তিটা তুলে ধরা হয় তাহলে কিছুটা হলেও অপরাধ কমানো যাবে বলে আশা করা যায়।অপরাধীদের মনে শাস্তির ভয়টা ঢুকানো এখন সময়ের দাবী।