বাংলাদেশে আয়কর প্রদানের সময় একটি সাধারণ সমস্যা যা মানুষের মুখোমুখি হয় তা হল জটিল কর আইন এবং প্রবিধান বোঝা, যা অর্থ বা ট্যাক্সেশনের পটভূমিহীন ব্যক্তিদের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। উপরন্তু, কিছু লোক তাদের আয় এবং ব্যয়ের সঠিক রেকর্ড রাখার জন্য সংগ্রাম করতে পারে, যার ফলে তাদের ট্যাক্স ফাইলিংয়ে অসঙ্গতি দেখা দেয়। অধিকন্তু, ট্যাক্স রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণ এবং রিফান্ড গ্রহণে বিলম্বও করদাতাদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশে আয়কর প্রদানের সময় ব্যক্তিদের কিছু সাধারণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়:
1. ট্যাক্স আইন বোঝা: বাংলাদেশের ট্যাক্স আইন এবং প্রবিধানগুলি জটিল এবং নেভিগেট করা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যাদের জন্য অর্থ বা ট্যাক্সেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তাদের জন্য। এর ফলে কোন আয় করযোগ্য এবং কোন ছাড় বা ছাড় প্রযোজ্য হতে পারে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।
2. রেকর্ড রাখা: সঠিক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার জন্য আয়, ব্যয়, এবং কর্তনের সঠিক রেকর্ড রাখা অপরিহার্য। যাইহোক, অনেক ব্যক্তি সংগঠিত রেকর্ড বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করতে পারে, যার ফলে তাদের ট্যাক্স ফাইলিংয়ে ত্রুটি বা বাদ পড়ে।
3. কমপ্লায়েন্স ইস্যু: ট্যাক্স আইন এবং প্রবিধান মেনে চলতে ব্যর্থ হলে জরিমানা এবং জরিমানা হতে পারে। কিছু ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট আয়ের উত্সগুলিকে উপেক্ষা করতে পারে বা সম্পদের প্রতিবেদন করতে ব্যর্থ হতে পারে, যার ফলে কর কর্তৃপক্ষের সাথে সম্মতির সমস্যা হতে পারে।
4. ট্যাক্স রিটার্ন প্রসেসিং: বাংলাদেশে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল এবং রিফান্ড গ্রহণের প্রক্রিয়া দীর্ঘ এবং আমলাতান্ত্রিক হতে পারে। ট্যাক্স রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণ এবং রিফান্ড ইস্যু করতে বিলম্ব করদাতাদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা খরচ বা বিনিয়োগ কভার করার জন্য ফেরত আশা করে।
5. কর ফাঁকি: কর ফাঁকি দমন করার জন্য কর কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কিছু ব্যক্তি এখনও তাদের আয়ের ন্যায্য অংশ পরিশোধ করা এড়াতে আয়ের কম রিপোর্ট করার বা অন্য ধরনের কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, কর আইনের জটিলতা, রেকর্ড সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, সম্মতির সমস্যা এবং আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশে আয়কর ব্যবস্থা নেভিগেট করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
বাংলাদেশে আয়কর প্রদানের সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য, বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
১.কর আইনের সরলীকরণ: কর আইন এবং প্রবিধানগুলিকে সরলীকরণ করা ব্যক্তিদের জন্য তাদের ট্যাক্স বাধ্যবাধকতাগুলি বোঝা এবং সেগুলি মেনে চলা সহজ করে তুলতে পারে। এর মধ্যে ট্যাক্স ব্র্যাকেটের সংখ্যা কমানো, কাটছাঁটযোগ্য খরচ স্পষ্ট করা এবং সামগ্রিক ট্যাক্স কোডকে স্ট্রীমলাইন করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
২. ট্যাক্স শিক্ষা এবং সচেতনতা: করদাতাদের তাদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা এবং সচেতনতা প্রোগ্রাম প্রদান করা সম্মতি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কর্মশালা, সেমিনার এবং অনলাইন সংস্থান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যাতে ব্যক্তিরা কীভাবে সঠিকভাবে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হয় এবং উপলব্ধ ছাড় ও ছাড়ের সুবিধা নিতে পারে তা বুঝতে সহায়তা করে৷
৩. উন্নত রেকর্ড-কিপিং টুলস: করদাতাদের ট্র্যাক রাখার জন্য ব্যবহারকারী-বান্ধব সরঞ্জাম এবং সংস্থানগুলি বিকাশ করাতাদের আয়, খরচ, এবং কর্তন রেকর্ড রাখার সঠিকতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।এটি মোবাইল অ্যাপস বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির বিকাশকে জড়িত করতে পারে যা ব্যক্তিদের জন্য সারা বছর ধরে তাদের আর্থিক ট্র্যাক করা সহজ করে তোলে৷
৪. স্ট্রীমলাইনড ট্যাক্স ফাইলিং প্রক্রিয়া: ট্যাক্স ফাইলিং প্রক্রিয়া সহজ করা এবং আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা হ্রাস সামগ্রিক কর ব্যবস্থাকে প্রবাহিত করতে সহায়তা করতে পারে৷ এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ফাইলিং বিকল্পগুলি বাস্তবায়ন, কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস এবং ট্যাক্স রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণের দক্ষতার উন্নতি জড়িত থাকতে পারে৷
৫. বর্ধিত প্রয়োগ ব্যবস্থা: কর ফাঁকি এবং অ-সম্মতি রোধ করতে প্রয়োগকারী পদক্ষেপগুলিকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এর মধ্যে কর ফাঁকির জন্য শাস্তি বৃদ্ধি, কঠোর নিরীক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন এবং কর ফাঁকি সনাক্তকরণ এবং মোকাবেলা করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেদক্ষ, এবং সকল করদাতার জন্য ন্যায়সঙ্গত।
এসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে পারলে দেশের মানুষ ট্যাক্স দিতে আগ্রহী হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় ট্যাক্স দাতার সংখ্যা অনেক কম। তার প্রধান কারন এসব অসুবিধা যে কারনে কর প্রদানে অনিহা তৈরী হয়। সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারলে কর দাতারা কর প্রদানে আগ্রহী হবে বলে ধারণা করা যায়। এবং যযথাসম্ভব সরকারের উচিত এবিষয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং জনমনে কর প্রদানে সর্বসাধারণকে সচেতন ও উদ্ধুদ্ধ করা।