সকলমঙ্গলবার একযোগে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আধাবেলা কর্মবিরতি
সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ এ ৯:২০ PM
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
আজ সোমবার (৩ জুন) ফেডারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এদিন সকাল ৮টা থেকে দুপর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচিও পালন করবেন শিক্ষকরা। এছাড়া দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। “এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ৪ জুন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন”।
এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, এই স্কিমের ফলে ১ জুলাইয়ের আগে ও পরে চাকরিতে যোগদান করা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষ্যম্য তৈরি হবে। যেটা সংবিধানের সমতার পরিপন্থি। প্রত্যয় স্কিমে মূল বেতন থেকে ১০ শতাংশ অর্থ কেটে নেওয়া হবে, যেটা আগে করা হত না। এ স্কিমে আনুতোষিক শুন্য। “বর্তমানে পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশনপ্রাপ্ত হন, কিন্তু নতুন এই স্কিমে পেনশনাররা ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশনপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেতেন, সবর্জনীন পেনশন ব্যবস্থায় সেটা সুস্পষ্ট করা হয়নি।” প্রধানমন্ত্রী যেদিন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না দাবি করে ফেডারেশনের মহাসচিব বলেন, হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ সুবিধা অক্ষুণ্ণ রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।